হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র ১ম অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর
হিসাববিজ্ঞানের প্রধান কাজ হলো এই লেনদেনগুলো লিপিবদ্ধ করা এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে ফলাফল নির্ণয় করা। সুতরাং হিসাববিজ্ঞান হচ্ছে, এমন একটি বাস্তব বিষয়, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিধিবদ্ধ ও নিয়ম অনুসারে আর্থিক ফলাফল নির্ণয় করে এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং আগ্রহী পক্ষসমূহের নিকট তথ্য প্রকাশ করে। তাই আমরা বলি, বর্তমানে হিসাববিজ্ঞানের কার্যক্রম ও এর পরিধি দিনে দিনে বাস্তবভিত্তিক, আধুনিকভাবে প্রয়োগ এবং উন্নতি উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে
সান্দিয়ারা গ্রামের জনাব জাকির হোসেন এর একটি মুদির দোকান আছে। দোকানটির নাম মিরাজ স্টোর। প্রতিষ্ঠানের মালিক যখন উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য দুই মণ ময়দা ক্রয় করেন তখন মিরাজ স্টোরের দুই মণ এর মূল্য হিসাবে কিছু নগদ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে হ্রাস পায়, অপর পক্ষে দুই মণ ময়দা প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তির ন্যায় বৃদ্ধি পায়। একটি কারবার প্রতিষ্ঠানে এমন অসংখ্য লেনদেন সংগঠিত হয়।
হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে?
এ সকল লেনদেনগুলো সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধকরন, শ্রেণীবদ্ধ করার মাধ্যমে আর্থিক ফলাফল নির্ণয়, আর্থিক অবস্থা নিরুপন এবং এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে সেগুলো উহার ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে হিসাববিজ্ঞান বলে। এ বিয়য়ে বিভিন্ন মনীষীগণ বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন-
এ. ডব্লিউ জনসন এর মতে, “টাকায় পরিমাপযোগ্য কারবারী লেনদেন সংগ্রহ, সংকলন, সুসংঘবদ্ধভাবে লিপিবদ্ধকরণ, আর্থিক ফলাফল তৈরি করণ , সেগুলো বিশ্লেষণ ও বিশদ ব্যাখ্যাকরণকে হিসাববিজ্ঞান বলে।”
American Accounting Association এর মতে, “যে পদ্ধতি অর্থনৈতিক তথ্য নির্ণয়, পরিমাপ ও সরবরাহ করে, এর ব্যবহারকারীদের বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে তাকে হিসাববিজ্ঞান বলে”।
American Accounting Association এর মতে, “প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক ঘটনাসমূহ শনাক্তকরণ, লিপিবদ্ধকরণ এবং আগ্রহী ব্যবহারকারীর নিকট সরবরাহ করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে হিসাববিজ্ঞান।”
উপরের আলোচনা থেকে হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয় –
ক) প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন সংগ্রহ করা।
খ) সংরক্ষিত লেনদেনগুলো সুশৃংখলভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়।
গ) আর্থিক ফলাফল নির্ণয় করার জন্য তথ্যগুলো শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
ঘ) নির্দিষ্ট সময় শেষে আর্থিক ফলাফল নির্ণয় ও আর্থিক অবস্থা নিরুপণ করা হয়।
ঙ) তথ্যগুলোর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়।
হিসাববিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
১। প্রস্তর যুগ: এ যুগে মানুষ পাহাড়ের গুহায় বসবাস করত। গাছের ফলমুল সংগ্রহ করে ও পাখি শিকার করে এবং তা খেয়ে বেঁচে থাকত। পশু শিকার করাই ছিলো তাদের প্রধান পেশা। এই পশু শিকারের সংখ্যা গননা করার জন্য পাথরের গায়ে দাগ কেটে হিসাব রাখতো। অনুমান করা হয় যে, তাদের এ সংখ্যা গণনার ধারণা থেকে হিসাববিজ্ঞানের পথচলা শুরু।
২। প্রাচীন যুগ: এ যুগে মানুষ পাহাড়ের গুহা হতে বেরিয়ে সামাজিকভাবে জীবনযাপন করতে শুরু করেন। এ সময় তারা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহের প্রধান পেশা হিসাবে বেছে নেয়। তাদের কাজের হিসাব রাখার জন্য ঘরের দেওয়ালে, বাঁশের গায়ে দাগ কেটে ফসলের হিসাব রাখতো। আমাদের দেশে প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও এ ভাবে শস্যের হিসাব রাখতে দেখা যায়।
৩। বিনিময় যুগ: যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানষের চাহিদার পরিবর্তন হতে থাকে। এই চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এই চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আদান প্রদান করতে থাকে এবং চুড়ান্ত বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পত্তির লেনদেনের হিসাব রাখতে শুরু করে। তখন এ সকল লেনদেন হিসাব রাখার পদ্ধতিগুলো ছিলো অদ্ভুত।
যেমন পেরু দেশে কিপু নামের রঙ্গিন সুতা ব্যবহার করত। চীন দেশে এব্যাকাস নামক এক প্রকার হিসাব যন্ত্র ব্যবহার করতো। আবার, রানী এলিজাবেথের রাজত্ব কালের আগ পর্যন্ত এক ধরনের চ্যাপ্টা কাঠি ব্যবহার করতো। এছাড়াও গাছের পাতায় আঁচড় দিয়ে, বাঁশের গায়ে দাগ কেটে, কাঠের গায়ে ছিদ্র করে ইত্যাদি ভাবে হিসাব রাখতো। তখনও সমাজে মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়নি।
৪। মুদ্রা যুগ: বিনিময় প্রথার অসুবিধাজনিত কারণে মুদ্রাযুগ এর প্রচলন শুরূ হয়। এখানে অর্থের বিনিময়ে পণ্যের মুল্য নিরূপণ করা হয়। অর্থের বা মুদ্রার প্রচলন শুরু হলে ব্যবসায় জগতে ব্যাপক প্রসার ঘটে। এ সময় পেশাগত ব্যবসায়ী শ্রেণি ধারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় শুরু করে এবং লিখিতভাবে হিসাব রাখা শুরু করে। ফলে হিসাব রক্ষার পদ্ধতি আরো উন্নত হয় কিন্তু তখনও কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উদ্ভব হয়নি।
৫। মধ্য যুগ: বিনিময়ের মাধ্যমে অর্থের প্রচলনে হিসাবরক্ষণে ব্যাপক উন্নতি হয়। সভ্যতার ক্রমাগত পরিবর্তনে ব্যবসায় বাণিজ্যে এর বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। পঞ্চাদশ শতাব্দীতে ইতালীয় ধর্ম যাজক এবং গণিতবিদ লুকাপ্যাসিওলি ১৪৯৪ সালে “সুমা ডি এরিথমেটিকা জিওমেট্রিয়া,প্রপোর্শন এট প্রোপরশনলিটা” নামক গ্রন্থে দুইতরফা দাখিলা পদ্ধতির সুত্র বর্ণনা করেন। হিসাব রক্ষণের এই নীতিটি সকল ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রচলন শুরু হয়।
৬। আধুনিক যুগ: লুকা প্যাসিওলি এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। উৎপাদন ব্যবস্থা ও ব্যবসায়ের উন্নয়নের সাথে সাথে হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থারও যথেষ্ঠ পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হিসাববিজ্ঞানে বিভিন্ন কৌশল ও প্রযুক্তিকরণ করার ফলে নতুন করে বেরিয়ে এসেছে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান, বাজেটিয় হিসাববিজ্ঞান, মানব সম্পদ হিসাববিজ্ঞান, সামাজিক হিসাববিজ্ঞান ইত্যাদি।
এ যুগকে মুলত হিসাবরক্ষণের কম্পিউটার যুগ বলে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হিসাবরক্ষণের মধ্যে সমতা আনার জন্য (Accounting Standard Committee) নামে একটি সংস্থা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ এই সংস্থার একটি সদস্য।
ব্যবসায়ের ভাষা হিসাবে হিসাববিজ্ঞান
ভাষা মানুষের মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। প্রত্যেক মানুষ তার মনের চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি ইচ্ছা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে। তেমনিভাবে হিসাববিজ্ঞান কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল তৈরী এবং আর্থিক অবস্থা উপস্থাপন করার জন্য হিসাব প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়ে থাকে। আধুনিক হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয়। কারণ,কারবার প্রতিষ্ঠানের যে কোন ধরণের তথ্য হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সকল পক্ষ সমূহ অর্থাৎ দেনাদার, পাওনাদার, বিনিয়োগকারী, ঋণদাতা, গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সহজেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে কোন তথ্য পেয়ে থাকে।
(ক) আর্থিক ফলাফল নির্ণয়: প্রতিষ্ঠানের সংগঠিত লেনদেনগুলো হিসাববিজ্ঞানের নিয়ম নীতি ও প্রথা অনুযায়ী বিজ্ঞানসম্মতভাবে সুবিন্যাস্ত করে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। লিপিবদ্ধকৃত উপাত্ত সমূহকে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল নির্ণয় করা হয়। আর্থিক ফলাফলের প্রতিবেদন হতে নিম্নলিখিত তথ্য সমূহ পাওয়া যায়।
i) মোট লাভ বা ক্ষতি
ii) নীট লাভ বা ক্ষতি,
iii) প্রতিষ্ঠানের উপার্জন ক্ষমতা,
iv) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দক্ষতা
(খ) আর্থিক অবস্থা প্রকাশ: প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনগুলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় বলে, হিসাবকাল শেষে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও দায়গুলো নিয়ে একটি উদ্বৃত্ত পত্র তৈরী করা হয়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পক্ষ সমূহকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সরবরাহ করা হয়। নিম্নে তথ্যগুলো উল্লেখ করা হলো
i) প্রতিষ্ঠানের চলতি সম্পদ ও দায়ের পরিমাণ,
ii) প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদ ও দায়ের পরিমাণ,
iii) বিনিয়োগকৃত অর্থের
iv) প্রতিষ্ঠানের মূলধন ও ঋণ এর পরিমাণ।
(গ) নগদ প্রবাহ: একটি নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে কি পরিমাণ নগদ প্রদান এবং কি পরিমাণ নগদ প্রাপ্তি হয়েছে তা জানা যায়।
(ঘ) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রদান: প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে আর্থিক প্রতিবেদন ছাড়াও বিভিন্ন রকমের তথ্য প্রয়োজন হয়। যেমন তারল্য অনুপাত, দক্ষতা অনুপাত, উপার্জন ক্ষমতা হার, মজুদ ব্যবস্থাপনা এবং মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য প্রদান করে থাকে।
হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য
১। স্থায়ীভাবে হিসাব সংরক্ষন করা: হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য হল আর্থিক লেনদেনগুলো নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্থায়ী ভাবে হিসাবের খাতায় সংরক্ষণ করা। ফলে ভবিষ্যতে যে কোন সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
২। আর্থিক ফলাফল নির্ণয় করা: একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে ক্রয়-বিক্রয় ও লাভ-লোকসান হিসাবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল নির্ণয় করা হয়।
৩। আর্থিক অবস্থা নিরুপণ করা: হিসাবকাল শেষে প্রতিষ্ঠানের কি পরিমান দায় ও সম্পত্তি রয়েছে তা উদ্বৃত্তপত্রের মাধ্যমে জানতে সহায়তা করা হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।
৪। নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা: ভবিষ্যতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দরকার হয়। যাহা হিসাববিজ্ঞানের আয় বিবরণী আর্থিক অবস্থা নিরূপণের মাধ্যমে ও প্রতিবেদন তৈরীর মাধ্যমে ব্যবস্থাপককে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া আরও উদ্দেশ্য রয়েছে –
ক) গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা,
খ) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা,
গ) জালিয়াতি রোধ করা,
ঘ) কর নির্ধারণে সহায়তা করা
ঙ) মুল্যবোধ ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি করা।
হিসাববিজ্ঞানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
১। আর্থিক লেনদেন স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধকরণ: প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনগুলো স্থায়ীভাবে হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ করা থাকলে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত সরবরাহ সম্ভব হয়।
২। লাভ-লোকসান নিরূপণ: হিসাববিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য হল মুনাফা অর্জন করা। মুনাফা হলে লাভ-লোকসান হিসাবের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। প্রতিষ্ঠানে মুনাফা অর্জিত হলে, অনুকূলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং ক্ষতি-অর্জিত হলে অন্যরকম সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
৩। প্রকৃত আর্থিক অবস্থা নিরূপণ: হিসাবকাল শেষে ব্যবসায়ের উদ্বৃত্তপত্রের মাধ্যমে কি পরিমান সম্পত্তি, কি পরিমান দায় এবং কি পরিমান মূলধন রইল তা জানা যায়।
৪। আয় ব্যয়ের সমতা রক্ষাকরণ: সঠিক ভাবে হিসাবের খাতায় লেনদেন লেখা থাকলে প্রকৃতভাবে কতটুকু আয় এবং এর জন্য কতটুকু ব্যয় হয়েছে জানা যায়। কোন ক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে হলে বা আয় বৃদ্ধি করতে হলে তা পরিস্কার বুঝতে পারা যায়।
৫। আর্থিক পরিকল্পনা প্রনয়ন: একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা গ্রহন করতে হয়। তার মধ্যে আর্থিক পরিকল্পনা অন্যতম। এ জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা পেয়ে থাকি।
৬। ভুল সংশোধন: যেহেতু হিসাববিজ্ঞানের নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করে লেনদেন লিপিবদ্ধ করে, সেহেতু এর মাধ্যমে হিসাবের ভুল সহজে সংশোধন করা যায়।
৭। গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই: দুই তরফা দাখিলার মাধ্যমে লেনদেন লিপিবদ্ধ করা হয়। এজন্য খতিয়ানের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরগুলো নিয়ে একটি রেওয়ামিল তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা যায়।
৮। কর নির্ধারন: সঠিকভাবে হিসাব রাখলে আয়কর, বিক্রয়কর, সম্পদকর ইত্যাদি নির্ণয় করার জন্য কর কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহনযোগ্য আয় বিবরনী উপস্থাপন করা যায়।